নোবেল চাকমা
আমাদের দেশে কাঠ ময়ূর যেন এক সোনার হরিণ। খুব সুন্দর এই পাখির দেখা মেলা ভার। কারণ তাদের সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে কমেছে। দক্ষিণ এশিয়ায় ভারত, বাংলাদেশ, মিয়ানমার এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার কিছু অংশে এর দেখা মেলে।
ধূসর রঙের এই কাঠ ময়ূর ‘মেটে কাঠমৌর’ বা ‘কাঠ মৌর’ নামেও পরিচিত। এর পুরো শরীরে চোখ আকৃতির সবুজ ও বেগুনি রঙের বাহার। লেজের পালকে রঙের পরিমাণ বেশি থাকে। এরা গ্রীষ্মমণ্ডলীয় রেইন ফরেস্ট এবং পাহাড়ি অঞ্চলের বাসিন্দা। এরা প্রধানত বীজ, উইপোকা, ফল এবং অমেরুদণ্ডী প্রাণী খেয়ে থাকে। এদের প্রজনন মৌসুম ফেব্রুয়ারি থেকে জুন।
নারী কাঠ ময়ূর দেখতে একইরকম হলেও পুরুষের তুলনায় ছোট, গাঢ় ও কম অলঙ্কৃত। ‘ধূসর কাঠ ময়ূর’ আইইউসিএন-এর বিপন্ন প্রজাতির লাল তালিকাভুক্ত।